Skip to main content

রাজকন্যা

 

শু             রাজকন্যা

 

ক কালে ছিল এক রাজপুত্র যার এক রাজকন্যাকে বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল। তাকেই সে বিয়ে করবে যে একজন প্রকৃত রাজকন্যা। সেই রাজকন্যাকে খুঁজে বের করার উদ্দেশ্যে সে পৃথিবীর সবত্র ভ্রমণ করলো। কিন্তু সব জায়গাতেই বিভ্রান্তি দেখা দিল। অসংখ্য রাজকন্যা ছিল, কিন্তু তারা প্রকৃত রাজকন্যা কি না তা সে কিভাবে জানবে? তা ছাড়া তাদের সবার মধ্যেই কিছু না কিছু খঁুত ছিল। অনেক খঁোজাখুজির পর বিষণ্ণ হয়ে সে বাড়ি ফিরল। যে উদ্দেশ্যে ভ্রমণে বের হয়েছিল তার সন্ধান মিলেনি।

এক সন্ধ্যায় প্রচন্ড ঝড় হল।ব্জ্রপাত সহ বৃষ্টি হচ্ছিল।পরিস্তিতি সত্যিকার অর্থ এ খুব ভয়াবহ ছিল।এর ই মধ্যে প্রবেশের দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজ পাওয়া গেল।বৃদ্ধ রাজা দরজা খুলতে এগিয়ে গেল।

দরজা খোলা মাত্র দেখা গেল এক রাজকন্যা সেখানে দঁাড়িয়ে। ঝড় বৃষ্টিতে তার যে কি অবস্থা। চুল থেকে শুরু করে জামা, জুতা সব পানিতে ভেজা। রাজার কাছে দাবী করলো যে সে প্রকৃত রাজকন্যা এবং রাজপুত্রের রাজকন্যা অনুসন্ধান করার খবর পেয়ে এ মহলে এসেছে।তুমি প্রকৃত রাজকন্যা কি না তা আমরা শীঘ্র ই আবিস্কার করবো’ বৃদ্ধ্য রাজা  ম নে ম নে ভাব ল। এ বিষয়ে একটু ও কথা না বলে শোবার ঘরে গেল। বিছনার চাঁদ র সরিয়ে সেখানে একটি মটর শুটি রাখল। তারপর বিশটি তোশক সেই মটর শুটির উপর রাখল।এরপর বিশটি আরামদায়ক পালকের বিছানা সেই তোশকগুলির উপর রাখল।ঠিক করলো রাজকুমারীকে এর মধ্যে রাত্রি যাপন করতে দেয়া হবে।

সকাল হবার পর বৃদ্ধ্য রাজা রাণী সেই রাজকন্যা কে জিজ্ঞাসা করলো, ‘তুমি কি ঠিকমত ঘুমাতে পেরেছিলে?’

‘ওহ!’ রাজকুমারী বলল, ‘ না, আমি শান্তিমত ঘুমোতে পারিনি। সেই বিছানায় শোবার পর আমি খুব ই শক্ত কিছু অনুভব করছিলাম যার জন্য খুব কষ্ট হচ্ছিল। সেটা খুব ই যন্ত্রণাদায়ক ছিল।

তারা বুঝতে পারল যে, মেয়েটি সত্যিকারের রাজকন্যা এবং তাতে কোন সন্দেহ নেই।বিশটি তোশক ও বিশটি পালকের বিছানার ওপর দিয়ে একটি মটর শুটি অনুভব করা কেবল মাত্র একজন রাজকুমারীর পক্ষেই সম্ভব। এছাড়া আর কেউ এরকম স্পশ কাতর হতে পারে না।রাজকুমার তৎক্ষণাৎ তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিল। সে বুঝতে পারল যে সে প্রকৃত রাজকন্যাকে খঁুজে পেয়েছে।

যে মটরশুটির কারণে এ ঘটনা ঘটলো, সেটা তারা জাদুঘরে রেখে দিল।সেখানে তা এখনো দেখা যাবে যদি কেউ না সরিয়ে থাকে।

Comments

Popular posts from this blog

সিলেটে কোয়ারেন্টাইন এ থাকা এক নারীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

  প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা যু’ক্তরাজ্য ফেরত এক নারীকে যৌ’ন হয়’রানি করেছেন হোটেল নুরজাহানের এক কর্মচারী। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) নগরীর হযরত শাহ জালাল দরগাহ গেইটস্থ হোটেল নুরজাহানে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত হোটেলের ওই কর্মচারী যু’ক্তরাজ্য ফেরত ওই নারীকে মোবাইলে ফোন দিয়ে বার বার বির’ক্ত করে। এক পর্যায়ে রুমের ভেতর প্রবেশ করে যৌ’ন হয়’রানির চেষ্টা করে। এসব বিষয় ওই নারী পরিবারের লোকজনকে জানালে পরিবারের লোকজন পু’লিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে কোতোয়ালী থা’না পু’লিশ ঘটনাস্থলে আসে। জামাল আহম’দ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, কোয়ারেন্টাইন থাকা লন্ডন প্রবাসীর রুমে গিয়ে ওই নারীর হাতে পায়ে ধরে বিভিন্নভাবে যৌ’ন হয়’রানির চেষ্টা করে। শুরুতে হোটেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করলে তারা পাত্তা দেয়নি। পু’লিশ আসার পর তারা এই কর্মী শাহীনকে হোটেলে আনাচ্ছে। ঘটনাস্থলে থাকা কোতোয়ালী থা’নার এসআই সুহেল  বলেন, খবর পেয়ে আম’রা এসেছি। এখন হোটেলের যে কর্মচারীর বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ তাকে আনা হচ্ছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরআগে সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করে ...

😢করোনা উৎসব 😢

 😢করোনা উৎসব 😢 সারা পৃথিবীর মানুষ যখন এই ভয়ংকর করোনাভাইরাসের আক্রমন নিয়ে আতংকিত। সেখানে আমরা বাংলাদেশের মানুষেরা নিশ্চিন্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমরা এতটাই বুদ্দিমান জাতি যেখানে দেশের বিপদের দিনে কিছু...........টাইপের উরধতন    কর্মকর্তা নানা ধরনের ফানি ট্রল করতেছে। আর আমরাও তাদের সাথে তাল মিলাইতেছি। আবার দেখা যাচ্ছে যে ভয়ংকর করোনাভাইরাস এর কারনে সরকার বাংলাদেশের সকল অফিস বন্ধ ঘোষণা করছে, যাতে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়।আর আমরা বাংগালীরা এই অফিস বন্ধ /ছুটিকে একটা উৎসবের ছুটির মত মনে করে,গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বাস স্টেশন, রেল স্টেশন এবং বিভিন্ন টার্মিনাল গুলোতে ভীড় জমাইতেছি। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছি আমরা যে সকল জায়গায় ভিড় জমাইতেছি সেখানে যদি ১ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত থাকেন তাহলে সবায় আক্রান্ত হবে।এমতাবস্থায় আমরা যখন গ্রামের বাড়িতে যাব সেখানে আমার পরিবারের লোকজন, আমার বাবা,মা,ভাই,বোন,স্ত্রী, সন্তান সকলেই আক্রান্ত হবে। আমার পারাপ্রতিবেশি কেউ সংস্পর্শে এলে আক্রান্ত হবে।তাদের থেকে আরও লোকজন আক্রান্ত হবে।একবার ভাবুন আমাদের একটু অসচেতনতার কারনেই ঘটবে। তাই যদি আমরা আমাদের ...