চঁাদ মামা
ছোট বেলায় মুরুব্বিদের কাছে গল্প শুনতাম। চঁাদের বুড়ির গল্প।চঁাদের ভেতর নাকি বুড়ি আর তার নাতনি বসবাস করে। বুড়ি নাকি আবার সুতা বুনে। আর নাতনি বুড়িকে কাজে সাহায্য করে।আমারা অনেকে হয়ত গরমকালে দেখেছি আকাশ থেকে মাকড়সার জালের মত নরম একধরনের সুতা পরতে।তখন সবায় বলত এগুলা চাদের বুড়ির সুতা।তখন মনে মনে কত কিছুই না ভাবতাম, যদি চাঁদের দেশে যেতে পারতাম। কতই না ভাল লাগত।দিনের বেলা এসব ভাবতাম আর রাতে উঠোনে বসে চাঁদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম যে। চাঁদের বুড়িকে আর তার নাতনিকে দেখা যায় কিনা।খুব দেখার চেষ্টা করতাম আর মাঝে মাঝে কিছু একটা দেখা যেত এরকম মনে হত।এসব নিয়ে ভাবা ভাবির পরে যখন ঘুমাতে যেতাম তখন, আম্মু আদর করে গান শুনিয়ে ঘুম পারিয়ে দিত।
আয় আয় চাঁদ মামা
টিপ দিয়ে যা।
চাঁদের কপালে চাঁদ,
টিপ দিয়ে যা।
কতই না ভাল ছিল তখনকার দিনের সময়গুলো, ছিল না কোনো চিন্তা ভাবনা, ছিল না কোনো দায়িত্ব। মূক্ত পাখির মত যা ইচ্ছা তাই করতে পারতাম।তাই ত গানে বলেছে,
কোথায় হারিয়ে গেল
সোনালী বিকেল গোলো,
আজ আর নেই,
আজ আর নেই।
বড় ইচ্ছে করে যদি, আবার ছোট বেলার সেই দিন গুলো ফিরে পেতাম।বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি, আড্ডা দেয়া।ঘুরি উড়ানো।একসাথে দলবেধে পুকুরে গোছল করা।জানি আর কখনো পাবনা ফিরে সেই দিন গুলো তবুয় সৃতি গুলো ভেবে ভেবে সবকিছুকেই অনেক মিছ করি।মিছ করি সেই চাঁদের বুড়ি এবং বূড়ির নাতনি কে।কিন্তু এখন আর সেসব কে ভাবে না। এখনকার বাচ্চাদের কেউ আর চাঁদের বুড়ির গল্প শুনায় না।এখন বাচ্চাদের হাতে তুলে দেয় স্মার্ট ফোন আর ল্যাপটপ, কম্পিউটার। তারা সারাদিন ব্যাস্ত থাকে কারটুন দেখা আর গেমস খেলা নিয়ে।তাই ত দেখা যায় বাচ্চার জন্মের পরে থেকেই ডক্টর এর পেছনে লেগে থাকতে হয়
আর আমাদের সময় গ্রামের হাতুড়ি ডাক্তার ছাড়া আর কোনো ডাক্তার থাকতে পারে বলে।ধারনাই ছিল না।আর এখন হাস্পাতালের আইসিউতে না নিলে নাকি বাচ্চা বাচেই না।এলাকার মুরুব্বিরা আগে একটা কথা বলত যে যত বুদ্দি বাড়ে তত লক্ষি ছাড়ে।তখন মানে বুজতে পারি নাই কিন্তু এখন বুঝি।পৃথিবী যতই উন্নতির দিকে যাচ্ছে। ততই সকল কিছুর আয়ু কমে আসসে।আগে মানুষ হাজার বছর, পাচশত বছর,দুইশত বছর বাচত।আর এখন বাচে সত্তুর থেকে আশি বছর।
Comments
Post a Comment