Skip to main content

মধ্যবিত্ত/নিম্নবিত্ত বেকার

 (মধ্যবিত্ত/নিম্নবিত্ত বেকার...)

:

উচ্চবিত্ত বেকার ছেলেদের বিষয়ে কিছু

লিখলাম না...কারণ,এদের মাথার উপরে

রয়েছে বড়লোক বাবার মাথার দামি ছাতা...

(টাকা)

.

মধ্যবিত্ত/নিম্নবিত্ত বেকার ছেলেদের

জীবনটা সবসময় দৌড়ের উপরে থাকে...

এরা শুধু দৌড়ায়...এখান থেকে ওখানে,ওখান

থেকে এখানে...

এদের সাথে দৌড়ে জিতবে কার সাধ্য!

.

এদের সকালটাই শুরু হয় একরাশ স্বপ্ন নিয়ে

আর আশা নিয়ে...

চাকরি পেলে মাকে একটা সাড়ি, বাবাকে

একটা সার্ট,বোনটাকে একটা থ্রি-পিস

দিবো...

আর নিজের জন্যও কিছু না কিনলেই নয়...

কতকাল আর এই এক'ই সার্ট আর প্যান্ট পরে

ভালোবাসার মানুষটির সাথে দেখা করতে

যাব!!

যত'ই বলা হয়,"প্রেম করতে টাকা লাগে না..."

আরে,ভাই ওটা মুখের কথা,বাস্তবে ফিরে

আসুন...নিজেকে যদি একটু পরিপাটি'ই না

রাখতে পারি,তাহলে ওই পাড়ার কুত্তাটাও

ফিরে তাকাবে না...(বাস্তব)

আর প্রেম করা মানে তো, বিকালবেলা

বাদাম,ঝালমুড়ি, ফুচকা দিতেই হবে...

যে কিছু চায় না...তাকেও না খাওয়ালে নয়...

না দিলে প্রেম?? দুই দিনও টিকবে না...

(বাস্তব)

.

মধ্যবিত্ত/নিম্নবিত্তদের বুকভরা থাকে শুধুই

ভালোবাসা,কিন্তু টাকার অভাবে তা প্রকাশ

করতে পারে না...

"দারিদ্র্য" নামক শব্দটাই সার্থপর...

বেকার যুবকদের ছোট ছোট ইচ্ছা গুলোকেও

পূরণ হতে দেয় না...

.

এরা সকাল থেকেই কোন একটা কাজের

খোজে ধুলিমাখা রাস্তায় হাটতে থাকে...

ইচ্ছা হলো, কোন একটা টং দোকান থেকে

এক কাপ চা আর একটা বিস্কুট কিংবা রুটি

দিয়ে এদের সকালের নাস্তাটা হয়...

বাড়িতে থাকলে তো সেই আপনজনের ঘ্যান

ঘ্যান।"কাজ কর,কাজ কর পাড়ার লোকে কি

বলে,ঘরের অবস্থা এই...হ্যান-ত্যান।

কিন্তু তারা এটা বুঝে না,চাকরি পাওয়া

আজকাল হাতের মুয়া না...

.

এদের,এখান থেকে ওখানে,ওখান থেকে

এখানে ধুলিমাখা রাস্তায় পায়চারী করারা

পর যখন কপালে একটাও কাজ না জুটে, এরা

আনমনে ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাড়িতে ফিরে

আসে একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্য...

এরা ভাবে,বিশ্রাম নিয়েই আবার কাজের

সন্ধানে বের হতে হবে...

.

কিন্তু বাড়িতে আসলেই, কেউ একজন অর্ধমৃত

অবস্তায় খাটে শুয়ে শুয়ে ক্লান্ত কন্ঠে বলে

ওঠে, "কি কোন কাজ পেলি!!এভাবে আর

কতদিন চলবে!বাড়িতে যে চাল ছিলো তা

প্রায় বারন্ত...তোর বোনটাকেও যে বিয়ে

দিতে হবে...

.

কথাগুলো শুনে বেকার ছেলেটির বিশ্রাম

ঘুচে যায়...

বিশ্রাম না নিয়েই আবার দৌড়ানো শুরু করে

দেয়...

.

বড়লোকদের মতো এদেরও শখ করতে ইচ্ছা

হয়,কিন্তু ওই "বেকার" শব্দটাই ওদের শখ

করতে দেয় না...

.

বেকার ছেলেটি সহজে বাড়িতে যেতে চায়

না,কারণ বাড়িতে গেলেই মায়ের সেই ঘ্যান

ঘ্যান শুনতে হবে...এই ঘ্যান ঘ্যান শব্দ শুনতে

শুনতে বেকার ছেলেটির কান পচে গেছে...

.

শেষরাতে যখন বাড়িতে না ফিরলেই নয়,তখন

ছেলেটি বাড়ির দিকে এক পা,দু পা করে

চলতে থাকে...কিন্তু,প

া মোটেই বাড়ির দিকে এগুতেই চায় না...

তবুও নির্লজ্জের মতো চুপি চুপি বাড়িতে

গিয়ে কোন রকমে গপ গপ করে কিছু গিলেই

ঘুমোতে চলে যায়...

.

ছেলেটি এখন অনেক ক্লান্ত...চোখে ঘুম ঘুম

ভাব...

কিন্তু কিছুতেই ঘুমোতে চাচ্ছে না..

চাইবে কি!ঘুম বাবাজি টেনশন এর ঠেলায়

পালিয়েছে

Comments

Popular posts from this blog

করোনা ভাইরাস সুরক্ষা নীতিমালা

  গাইডলাইন ও নীতিমালাসমূহ -কোভিড-১৯ সম্পর্কিত জাতীয় গাইডলাইনসমূহ: জাতীয় কোভিড-১৯ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন জাতীয় হাসপাতাল সংক্রমন নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ গাইডলাইন কোভিড -১৯ মহামারী এর সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংক্রমন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের কারিগরি নির্দেশনা কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সময় মা,নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইন     কোভিড-১৯ ও ডায়াবেটিস বিষয়ক গাইডলাইন  কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সময় হৃদরোগের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন মারাত্বক অসুস্থ কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা বিষয়ক গাইডলাইন কোভিড-১৯ এনেস্থেশিয়া এবং ICU ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন কোভিড -১৯  সংক্রমণ ঝুঁকি বিবেচনায় জোন ভিত্তিক সংযমন (Containment) ব্যবস্থা বাস্তবায়ন কৌশল/গাইডলাইন  -কোভিড-১৯ সম্পর্কিত অন্যান্য নির্দেশিকা সমূহ: সর্বসাধারণের জন্য কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারের উপকারীতা এবং কাপড়ের মাস্ক তৈরীর নিয়মাবলী মাস্ক পরা, ব্যবহার করা, খুলে ফেলা এবং নিস্পত্তি/ধ্বংস করার পদ্ধতি কোভিড-১৯ এ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক গাইডলাইন বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত শিশুদের জন্য লেখা বই "তুমি আমার আদর্শ" কোভিড-...

Nice love story

  ছেলে : আমাদের রুম ডেট হবে 12 তারিখ! মেয়ে : ঠিকাছে। ছেলে : "হ্যলো লিটন, তোর ফ্ল্যাটের চাবিটা রেখে যাইস। মেয়েটারে পটায়া ফেলছি!" মেয়ে : আম্মু আমার না 12তারিখ একটা এক্সাম আছে। এক্সামের পর এক বান্ধবীর বাসায় দাওয়াত আছে। ফিরতে দেরি হবে। আব্বু তুমি টেনশন করো না। আরলি ফিরে আসবো। ভাইয়া তোকে আমায় এগিয়ে আনতে হবে না। বিশ্বাস রাখিস তোর বোন আর 10 টা মেয়ের মতো খারাপ না। বাড়ির সবাইকে ম্যানেজ করে মেয়ে চলল লিটনের ফ্ল্যাটে! পেছনে ফেলে গেল সমাজ! সমাজ আজ খুব তুচ্ছ! লিটনের ফ্ল্যাটটাই অনেক বড়! যাওয়ার পথে সমাজ বলল "যাও মা যাও। তবে সমাজের মান সম্মানটা একটু রেখে চলো।" অতপর ফ্ল্যাটে এসে হাজির। ছেলে : এত্ত দেরি করলা ক্যান? এমন শুভ কাজে কেও এত্ত দেরি করে? তোমার জ্ঞান কবে হবে বলতো? এটা হল অমুক, ও তমুক, ও তমুক ও তমুক। ওরা আমার ফ্রেন্ড। খুব ভাল ছেলে ওরা। দুনিয়া ওল্টে যাবে কিন্তু এ কথা কাওকে বলবে না। মেয়ে : ভাইয়ারা ভাল আছেন? বন্ধুরা : (মনে মনে) বন্ধুর সামনে বৌ এর সাথে তো কোন পাগলেও সেক্স করে না। করে? যে ছেলে বন্ধুদের জানিয়ে সেক্স করে সে কি আর তোরে বিয়ে করবে? ওর একটা মান সম্মান আ...

মংগলের নীল এলিয়েন

  মংগলের নীল এলিয়েন             এস.এম.ফিরোজ আল মামুন হঠাৎ একদিন রাতে অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলাম হেটে হেটে।রাস্তাটা ছিল খুবি নিস্তব্ধ এবং অন্ধকার। রাস্তার দুপাশে ছিল ঘন জংল।একা একা একটা সিগারেট ধরিয়ে মনের সুখে টানতে টানতে হাটছি।হঠাৎ জংগল থেকে অদ্ভুত রকমের এক কন্ঠশ্বর ভেসে এল।প্রথমে বুজতে না পারলেও পরক্ষণেই বুঝতে পারলাম কেউ একজন আমাকে উদ্দেশ্য করে কিছু একটা বলছে।আমি বললাম কে কে ওখানে।সে বলল স্যার আমাকে আপনি চিনবেন না। আমি আপনাদের মত কোনো মানুষ না।আমি তখন ভয়ে ভয়ে বললাম ম ম মানে।সে বলল স্যার ভয় পাবেন না আমি আপনার কোনো ক্ষতি করব না।আমি বললাম আপনি সামনে আসুন সে আসল। তাকে দেখে আমি ত আমার বাকশক্তি হারিয়ে ফেললাম সারা শরীর নীল রঙের মাথাটা লম্বাটে। চোখ দুটো গোল টেনিস বলের মত কোনো ভ্রু নেই।সে বলল স্যার আমি আপনাদের আবিস্কৃত মংল গ্রহের বাসিন্দা। আমি এসেছি আপনাদের মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং দন্দ নিয়ে রিসার্চ করতে।আমি বললাম ত আমি আপনার জন্য কি করতে পারি।সে বলল আপনি আমাকে এই কাজে সাহায্য করবেন।আমি বললাম কিভাবে।সে আপনি আমাকে ভিবিন্ন মানিষের ব্লাড স্যাম্পল আর এদের ...